বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিবর্ষণে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান তাইম হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার তানজিল আহমদ ও এসআই শাহাদাত হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আসামিদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি।
আসামি তানজিল আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আন্দোলনের দুই মাস আগে আমার যাত্রাবাড়ীতে পোস্টিং হয়। আমি ট্রাফিক পুলিশের এসি ছিলাম। একজন ট্রাফিক পুলিশের কাজ কি সবার জানা। আমি এ ঘটনার কিছুই জানি না। এরপর আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
জানা যায়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপ-পরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইম নিহতের ঘটনায় গত ২০ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদের আদালতে ওই শিক্ষার্থীর মা মোসা. পারভীন আক্তার এ মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সরকার গত ২০ জুলাই কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিলো। ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় চা খেতে যায়। ওই সময় আসামিরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। প্রাণ ভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এলোপাথারী ছোটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের সাটার টেনে দেয়। কিন্তু সাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিলো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পুলিশ সেখানে অবস্থারকারীদের টেনে বের করে। আসামি জাকির হোসেন গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌড় দিতে বলে। তখন তাইম সবার আগে দৌড় দেয়। জাকির তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তাইম মারা যায়।