পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা যা করেছে সেটা অন্যায়: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা যা করেছে সেটা অন্যায়/ছবি: সংগৃহীত

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা যা করেছে সেটা অন্যায়/ছবি: সংগৃহীত

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা যা করেছে সেটা অন্যায়, কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে জ্বালানি বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির যৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া হয়েছে। অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার যে দাবি তুলেছে, সেটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হুট করে কোনো ঘোষণা দেয়া যায় না। সরকারকে দুর্বল মনে করে দাবি-দাওয়া তুললেই হয়ে যাবে, এটা ভাবা ঠিক না। এই সরকার দুর্বল নয়, অনেক সরকারের চেয়ে শক্তিশালী। পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির কেউ দায়িত্ব পালন না করে চলে গেলে তাদের একবারে চলে যাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, এখন থেকে কোনো যোগসাজশের মাধ্যমে নয়, জ্বালানি খাতের সব কেনাকাটা হবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। গ্যাস অনুসন্ধানে বিগত সরকারের তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না। বরং তারা জরুরি কারণ ও বাড়তি চাহিদা দেখিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেছে।

সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আওতায় রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহক। সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকুরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তারই ধারবাহিকতায় ২ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবি আগে থেকে উঠলেও চলতি বছরের শুরু থেকেই আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে।

গত ১৭ অক্টোবর আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি প্রদান ও ১০ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সর্বাত্মক শাটডাউনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার খবর আসতে থাকে। প্রায় ৬৭টি সমিতি কমবেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় তারা।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনকারীরা। তারা বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান। শৃঙ্খলা ফেরাতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন। তারা আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাবে।

রোববার (২০ অক্টোবর) বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও বাতিল হয়েছে। অন্যদিকে ১৯ অক্টোবর যারা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তাদের স্ট্যান্ড রিলিজ করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।