মুলা চাষে ভাগ্য ফিরেছে মাগুরার বাবর আলীর
মুলা চাষ করে ভাগ্য ফিরেছে মাগুরার প্রান্তিক কৃষক বাবর আলীর। নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা সফল এ কৃষকের বাড়ি সদর উপজেলার দাশনা গ্রামে। এ বছর রবি মৌসুমে নিজ দুই বিঘা জমিতে মুলা চাষ করে সফল হয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি লক্ষাধিক টাকার মুলা বিক্রি করেছেন। এছাড়াও আরও দুই লাখ টাকার বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাবর আলী।
কৃষক বাবর আলী বলেন, 'চলতি রবি মৌসুমে নিজ গ্রামে দুই বিঘা জমিতে তিনি উন্নত জাতের মুলা চাষ করেন। শ্রম আর যত্নে মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে বিক্রয় উপযোগী হয়ে যায়। যা ৩৫ দিনের মধ্যে প্রায় ১ কেজি ওজনের মতো হয়। আর এ দুই বিঘা জমিতে মুলা চাষে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি লক্ষাধিক টাকার মুলা বিক্রি করেছেন বলে জানান।
এছাড়া ক্ষেতে বর্তমান যে মুলা রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, মুলা চাষ সহজ এবং লাভজনক। নিজ জমিতে তিনি ২ বছর ধরে মুলা চাষ করে আসছেন। মুলা চাষে সার ও কীটনাশক খুবই কম লাগে। ভালমানের বীজ সংগ্রহ করার পাশাপাশি জমির আগাছা পরিষ্কার ও নিয়ম মাফিক সেঁচের ব্যবস্থা করতে পারলে উৎপাদন ভালো হয়। তিনি নিজ ক্ষেতের এসব মুলা বিক্রি করে সংসার পরিচালনাসহ তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েও বাড়তি টাকা জমাতে পারছেন বলে বাবর আলী জানান।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এবছর রবি মৌসুমে সদর উপজেলায় সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৭শ' ১০ হেক্টর। যার মধ্যে মুলা চাষে আলাদাভাবে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে মুলা চাষে উৎপাদন খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে কৃষকরা মুলা চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি কৃাষ বিভাগ সবজি চাষে ভাল বীজ দেয়াসহ সরেজমিন পরিদর্শন ও কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে।