পঞ্চগড়ে দিনে গরম, রাতে তীব্র শীত
হিমালয় পর্বতের সন্নিকট হওয়ায় হিমেল বাতাসে বাড়িয়ে দেয় শীতের মাত্রা। পৌষ না আসতেই দাপট দেখাচ্ছে অগ্রহায়ণের শীত। তবে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেয়া তথ্য মতে, গত দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা থাকছে ২৭-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোর থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা ছাড়াই রঙিন আলোর রোদ ছড়িয়ে উঠে গেছে ভোরের রক্তিম সূর্য। রোদ উঠলেও ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। তবে রোদ থাকায় শীতের প্রভাব পড়ছে না কোনো কাজকর্মে। ভোর সকালেই কাজে যেতে দেখা গেছে দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
দিনের বেলায় গরম হলেও ভোর সকালে কনকনে শীতে হাতপা অবশ হয়ে আসে বলে জানালেন কামাল, নাসিরসহ কয়েকজন পাথর শ্রমিক। সূর্য উঠতেই তারা বেড়িয়ে পড়েন কাজে। তারা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা লাগে। এরপর আর ঠান্ডা নাই। কিন্তু সকালে কাজে বের হলে শীত বেশি মনে হয়। কাজে যেতে মন না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজে বেরিয়েছি।
স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় ঠান্ডা বাতাস। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে কনকনে শীতের প্রকোপ। সাধ্য অনুযায়ী শীত নিবারণে লেপ, কম্বল ও কাঁথা নিতে হচ্ছে রাতে। সকাল ৯টার পর থাকছে না ঠান্ডার প্রভাব। দিনের বেলা গরম ও সূর্যের আলো দেখা মেলে৷ দিনে-রাতে দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।
জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগীর ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, গতকালের তুলনায় সামান্য তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।