পঞ্চগড়ে রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম
হিমালয় কন্যা নামে খ্যাত উত্তরে জেলা পঞ্চগড়ে উত্তরে হিমেল হওয়ার কারণে হঠাৎ তাপমাত্রা নেমেছে। গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা থাকলেও গতকাল সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ছিল হিমেল হাওয়ার প্রভাব৷ ফলে ১২ ডিগ্রি থেকে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ ডিগ্রির ঘরে। তবে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হলেও সকালের পর দেখা মেলে সূর্যের৷
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা এই চলতি শীত মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যার পর হালকা হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে জেলার ওপর দিয়ে। কয়েকদিনের তুলনাই অনেক কম ছিল কুয়াশা। তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল হাওয়া বৃদ্ধি পায় এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। তবে সকালে পরপরই দেখা মেলে সূর্যের।
আবহাওয়া অফিস বলছে, যেহেতু এ জেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি যার কারণে প্রতিবছর এখানে আগে বাকি শীতের আগমন ঘটে, অন্যান্য জেলার তুলনায় এখানে দীর্ঘ স্থায়ী শরৎ অনুভূত হয়ে বিদায় নেয়। তবে তাপমাত্রা পারদ আগামীতে আরো কমবে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে কথা হয় জেলা শহরের ভ্যানচালক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাতে অনেক ঠান্ডা করলেও দিনে অনেক গরম করে। এখন সূর্য দেখা গেছে, অনেক রোদ্র হচ্ছে। অনেকক্ষণ রোদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না।
একই কথা বলেন দিনমজুর আসিয়া বেগম। তিনি বলেন, এখন তো অনেক রোদ, শীতের কাপড়ও খুলে রেখেছি। কিন্তু সন্ধ্যা হলে আবার শীত অনুভূত হয়। শীতকাল আসলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ হয়ে যাচ্ছে। শীতের তাপমাত্রা পারদ আরো কমবে এবং শীতের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।