৩৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সাদপন্থীদের মানববন্ধন
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী ২০ ডিসেম্বর ৫ দিনের জোড় ইজতেমার অনুমতি এবং মাওলানা সাদ কান্ধলভিকে বাংলাদেশে আসার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করছেন সাদপন্থী তাবলীগ জামায়াতের অনুসারীরা।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) সদর দফতরের সামনে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ১৭ ডিসেম্বর সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক ছাত্র-জনতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাবলীগ জামায়াতের ভেতরে যে বিভেদ চলছে, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। জুবায়েরপন্থী অনুসারীরা প্রতিবছর তাদের মুরুব্বিদের নিয়ে টঙ্গীর ময়দানে জোড় এবং ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ পেয়ে আসছে। কিন্তু মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের সেই একই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটি আমাদের কাছে বৈষম্যের উদাহরণ।’
তারা আরও বলেন, ‘এই বৈষম্যের ফলে তাবলীগ জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে বিভক্তি আরও প্রকট হচ্ছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা মাওলানা সাদ গ্রুপের পক্ষ থেকে দাবি জানাই, আগামী ২০-২৪ ডিসেম্বর টঙ্গীর ময়দানে ৫ দিনের জোড় আয়োজনের জন্য আমাদের অনুমতি দিতে হবে এবং মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
সচেতন ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ‘আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বৈষম্য দূর করা হলে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। আমরা ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে এই দাবি পূরণের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর সারাদেশ থেকে ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।’
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘আমরা এই দেশের নাগরিক। স্বাধীনতার আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা ন্যায্যতা ও ইনসাফের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। আমাদের দাবি শুধু তাবলীগ জামায়াতের সমস্যা সমাধানের জন্য নয়, বরং সার্বিকভাবে বৈষম্যের অবসান ঘটানোর জন্য।’