মেহেরপুরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
জাতীয়
মেহেরপুরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দিলরুবা খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের ছাতিয়ান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নিহত দিলরুবার স্বামী মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামের সাজ্জাদুর রহমানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাজ্জাদুর রহমান স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ছাতিয়ান নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে দিররুবা খাতুন মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ট্রাকের চাকার নিচে পড়েন। এসময় ট্রাকের চাকায় মাথা পিষ্টে তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়রা সাজ্জাদুর রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে পুলিশ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটি কক্সবাজারের বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে এতে, জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় সদস্য এ এস এম সুজা উদ্দিন বলেন, ৭১ ও ২৪ প্রতিটা বিজয় এখানকার মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জন করেছে এদেশের মানুষ।
তিনি বলেন, যেকোন দেশের সাপোর্টার হিসাবে তার পলিসিতে মানবিক রাষ্ট্র হিসাবে এগিয়ে আসতে পারেন, যেটা জাতিসংঘের নিয়ম অনুসারে পাশে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু তাই বলে একজন ফ্যাসিস্ট সরকারকে আশ্রয় দিয়ে গণমানুষের বিজয়কে নিজেদের বিজয় বলে দাবি করা মোটেও ঠিক নয়, যা ভারতের নরেন্দ্র মোদি তার এক টুইটে বলেছেন। এই বিজয় দিল্লির নয় এটি এদের মা মাটি ও মানুষের যেখানে মোদি সরকারের কোন ভূমিকা নেই।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটি কক্সবাজারের উদ্যোগে এক বর্ণিল বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম সুজা উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ শোভাযাত্রা শহরের হলিডে মোড় থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা ও উপজেলা ইউনিটসমূহের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম সুজা উদ্দিন এক সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, "১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ আমাদের জাতীয় জীবনের ৩টি ঐতিহাসিক মাইলফলক।
১৯৪৭ এ আমরা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি লাভ করি। প্রায় ২০০ বছরের গোলামীর জিঞ্জির থেকে আমরা যে অভিপ্রায়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ হয়েছিলাম তা আসলে কাঙ্ক্ষিত মুক্তি ছিলো না। এ কারণে সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় হাজির হয় ১৯৭১!
১৯৭১ এ বাঙ্গালি জাতি পাঞ্জাবি শাসকগোষ্ঠীর নব্য ঔপনিবেশিক শোষণের কবল থেকে মুক্ত হয় ৭১ এর দীর্ঘ নয় মাসের প্রলয়ংকারী জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। ৭১ এর এই দিনে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি। কিন্তু এ রাষ্ট্রের উষালগ্নে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারের যে বাংলাদেশ নির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়েছিলো, তা থেকে আমরা বিচ্যুত হই। যে কারণে ২০২৪ এ ছাত্র-নাগরিকের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান ঘটে এবং জাতি আজ নতুন রাজনৈতিক দিশার সন্ধান করছে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আলাপ তুলছে। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নতুনভাবে জাগ্রত হচ্ছে।
তাই, ৪৭, ৭১ ও ২৪ আমাদের ঐতিহাসিক আত্মপরিচয়ের গৌরবোজ্জ্বল টাইমলাইন। জাতীয় নাগরিক কমিটি এ টাইমলাইন সমুন্নত রেখে সংহতি, প্রতিরোধ ও পুণর্গঠনের মধ্য দিয়ে এক আত্মপ্রত্যয়ী স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের সংকল্প করছে।"
তিন হাজার পাচশত টাকায় থাই ভিসার আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা। ফলে পূর্বে ভিসা সেন্টার এবং এজেন্সির জন্য যে বাড়তি দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হতো, সেটি সাশ্রয়া হবে। এছাড়াও আবেদনের দশ দিনের মধ্যেই ই-ভিসা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত থাই দূতাবাস।
ই-ভিসা সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্টধারীরা ই-ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলাদেশিদের ই-ভিসা দিবে ঢাকায় নিযুক্ত থাই দূতাবাস।
ভিসার আবেদন জমা দেয়ার পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যেই ভিসার স্ট্যাটাস জানানো হবে ফিরতি ই-মেইলে। সব ঠিক থাকলে ই-মেইলেই চলে আসবে ভিসা।
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনে পূর্বের মতোই ব্যাংকে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা জমা রয়েছে দেখাতে হবে। একই সাথে বিগত ৬ মাসে একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন থাকতে হবে৷ ভিসার আবেদন ফর্মের সঙ্গে এই একাউন্ট স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে৷
ঢাকার রয়েল থাই এম্বাসি জানিয়েছে www.thaievisa.go.th ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে এবং ফর্ম পূরণ করে আপলোড করতে হবে। সুতরাং পাসপোর্ট জমা দেয়ার কোনো কারণ নেই।
দূতাবাস জানিয়েছে নতুন ব্যবস্থাপনায় ভিসা ইস্যু হলে সেটি ই-মেইলে পাঠানো হবে। ভিসার কাগজটি প্রিন্ট করে সঙ্গে রাখতে হবে থাইল্যান্ডে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনে।
বর্তমানে যে ৪টি ভিসা সেন্টার চালু রয়েছে সেগুলো আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে আবেদন নেয়া বন্ধ করে দিবে।
দূতাবাসের দেয়া তথ্যমতে, কিছু কারিগরি কারণে আপাতত ই-ভিসার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা ফি জমা দেয়া যাবে না। ভিসা আবেদন অনলাইনে জমা দেয়ার পর একচি কিউআর স্ক্যান এবং পেমেন্ট ইনফো সামারি প্রদান করা হবে৷ www.combank.net.bd/thaivisa ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা ফি জমা দিতে হবে এবং জমা স্লিপ আপলোড করতে হবে। নগদে বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো ভিসা ফি জমা নেয়া হবে না।
নিজ নিজ ইমেইল থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনে যেন দূতাবাস যোগাযোগ করতে পারে। দৈনিক ৪০০টির বেশি ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হবে না। এবং দূতাবাসের একাউন্টে ভিসা ফি জমা দেয়ার সময় থাকবে তিন ঘণ্টা, সকাল ৯টা থেকে ১২টা।
আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির গৌরবের দিন। বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের শ্রদ্ধা জানাতে লাখো জনতার ঢল নেমেছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সৌধ প্রাঙ্গণ উম্মুক্ত করা হলে বাড়তে থাকে জনতার স্রোত। এ সময় বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে এমন চিত্র দেখা যায়। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ, স্থানীয় ও দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।
ভোর ৬টা ৩২ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে দলে দলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করতে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক, সেচ্ছাসেবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। তাদের সবার হাতে ফুলের তোড়া।সেসব তোড়ার স্থান স্মৃতিসৌধের মুল শহিদ বেদীতে। সহস্র জনতার শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠছে শহীদ বেদী।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয়ের ৫৪ বছর উদযাপন করতে আসা হাজারো মানুষের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস। তবে এর মধ্যেও ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে ভোলেননি তারা। শিশু থেকে বৃদ্ধ-অধিকাংশের হাতে লাল-সবুজের পতাকা আর বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা পোশাক শ্রমিক মোহন বলেন, আমরা যুদ্ধ করতে পারিনি। কিন্তু যারা যুদ্ধ করেছেন, দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করা আমাদের প্রয়োজন। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে আমি প্রতিবারই আসি।
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে সাভারের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
মহান বিজয় দিবস উদযাপনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দফতর সেল) জাহিদ আহসানের পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবসে ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কর্তৃক বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করছে।
তিনি বলেন, নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত কোনো নেতা-কর্মী আজ বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে যাবে না।
মহান বিজয় দিবসের মতো জাতীয় গৌরবের দিন ফ্যাসিবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে পালন করাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে করে।