আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান
তালিগ জামাতে দুই গ্রুপের ইজতেমা পূর্ববর্তী সময়ের প্রস্তুতি হিসেবে জোড় ইজতেমা করা নিয়ে হামলায় নিহত ও আহতের ঘটনায় ময়দান ও আশেপাশের এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠ পুরোপুরি ফাঁকা দেখা গেছে। ময়দান ছেড়ে গেছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। মাঠটি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা আছেন সতর্ক অবস্থানে।
আশপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারাই এসব এলাকা দিয়ে যাতায়াত করছেন, তাদের তল্লাশি করা হচ্ছে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে জোড় ইজতেমা করতে চেয়েছিলেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা। কিন্তু সরকারের অনুমতি না থাকায় মাঠের জিম্মাদার শুরায়ী নেজামের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আপত্তি জানায়। অন্যদিকে আসন্ন ইজতেমার প্রস্তুতির জন্য মাঠে কাজ চলছিল এমতাবস্থায় জোড় হলে মাঠের কাজ বন্ধ থাকবে এবং যথাসময়ে ইজতেমা অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হবে যুক্তি দেখিয়ে সাদপন্থীদের অন্য জায়গায় জোড় করতে বলে। তার পরও তারা মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে জোর করে মাঠে প্রবেশ করে পাহারার জামাত ও কাজের জামাতের সাথীদের মারধর শুরু করে মাঠ থেকে বের করে দেয়। এ সময় তাদের হামলায় চারজন নিহত এবং আহত হন শতাধিক মানুষ।
এ দিকে ইজতেমার মাঠে নিরাপত্তার বিষয় জানতে চাইলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমানে ইজতেমার ময়দানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রথম মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, এপিবিএনের ১৩০ জন সদস্য ও অর্ধশত গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদস্যকে মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে।
গতকালকের হামলার ঘটনায় মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। ভুক্তভোগির পরিবার অভিযোগ দিলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব। এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও দেড় শতাধিক আহতের তথ্য পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।