দর্শনায় সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধ
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিত্রা এক্সপ্রেসের ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন করছেন স্থানীরা। ফলে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে এ মানববন্ধন শুরু হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে রেলপথে অবরোধ করেন তারা। এসময় তারা দর্শনা হল্ট স্টেশনে এই দুটি ট্রেনের অন্তত ৩ মিনিট যাত্রাবিরতির দাবিতে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে রেলগেটের ওপর ট্রেন থামিয়ে রাখায় দুই প্রান্তের সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।
এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফসার (ইউএনও) মমতাজ মহল ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম তাসফিকুর রহমান। তবে আন্দোলনকারীরা কোনো প্রকার আশ্বাস না পেয়ে মানববন্ধন ও রেলপথ অবরোধ করেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী আকমত আলী, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রহমান, এ এইচ অনিকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলের প্রথম শহর। অথচ এখন পর্যন্ত ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ এখানে নেই। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই স্টেশনে ট্রেন দুটির অন্তত ৩ মিনিট যাত্রাবিরতির দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এ দাবির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছি। দাবি না মানা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ইউএনও, থানার ওসি ও সেনাবাহিনী আলোচনায় বসেছেন।