ভোমরার দুই বাংলাদেশিকে জমি চাষে বাধা, পতাকা বৈঠকে নিষ্পত্তি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পতাকা বৈঠকে নিষ্পত্তি/ছবি: সংগৃহীত

পতাকা বৈঠকে নিষ্পত্তি/ছবি: সংগৃহীত

বিএসএফ দুই বাংলাদেশিকে নিজেদের জমি চাষে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে আগামী ২০ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথসার্ভের পর বিষয়টি চুড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়।

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১০২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার রমেশ কুমার।

বিজ্ঞাপন

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লক্ষীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি লিজ নিয়েছি। সেই জমিতে শনিবার সকালে বোরো ধান রোপণ করতে যাই। এসময় বিএসএফ ও স্থানীয়রা তাকে ধান রোপণ করতে বাধা দেন। ওই জমি ভারতীয় অংশের বলে আস্ফালনও করেন তারা। একপর্যায়ে তিনি ধানের চারা রোপণ বন্ধ রাখেন।

একই গ্রামের শাহীন গাজী বলেন, আমার পিতা নজরুল গাজী বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় ১ বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার বিকেলে দু'জন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেয়। ওই জমি ভারতের বলে তারা দাবি করে। বিষয়টি ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।

পতাকা বৈঠকের পর ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত অংশ ব্যতীত অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে। আর আপত্তিকৃত জায়গায় আগামী ২০ জানুয়ারি যৌথসার্ভের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।