‘দুর্যোগ মোকাবিলায় ফায়ার ক্রুদের দক্ষতা বাড়ানো জরুরি’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান

দুর্যোগ মোকাবিলায় ফায়ার ক্রুদের দক্ষতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত ‌‌পূর্ণাঙ্গ অগ্নি নির্বাপন মহড়া-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিমানবন্দরে কর্মরত ফায়ার ক্রুদের দক্ষতা ও পেশাগত জ্ঞান উন্নত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতিগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগের সময় কার্যকরভাবে ব্যবহারের উপযোগিতা যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নাসরীন জাহান বলেন, আজকের মহড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগায় যে, যেকোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব।

বিজ্ঞাপন

অুনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে এমন মহড়া আয়োজন করা হয়। এই ধরনের মহড়া জরুরি মুহূর্তে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা বিমানের অগ্নি নির্বাপন ও যাত্রী উদ্ধার তৎপরতায় প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করছি।’

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই মহড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রস্তুতিকে আরও শাণিত করার সুযোগ পাচ্ছি। যে কোন অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য আমাদের সকলকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে।

পরিশেষে, তিনি সফলভাবে মহড়া পরিচালনার জন্য বিমানবন্দরের পরিচালকসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এর আগে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়ায় নেপচুন এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাস-৩২০ বিমান, কলসাইন নেপচুন ৪০৬, রানওয়ে-২৩-এ অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিমানটি রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে কার্গো এপ্রোনের সামনে গিয়ে থামে এবং ডান পার্শ্বের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়।

দ্রুত কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্রাশ এলার্ম বাজিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবগত করা হয়। ফায়ার ক্রুরা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মহড়ায় ৬৫ জন যাত্রীর মধ্যে ৪০ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, ২১ জন আহত হন এবং ৪ জন মারা যান বলে দেখানো হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর অগ্নি নির্বাপন, যাত্রী উদ্ধার, এবং বিভিন্ন সংস্থার কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

মহড়ায় অংশ নেয় বেবিচক, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব, এপিবিএন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল চট্টগ্রামসহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা।