শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১৮ লাখ টাকার মোবাইল ফোন জব্দ
জাতীয়
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত ট্রলি ব্যাগ থেকে প্রায় ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার মোবাইল ফোনের চালান আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে শারজাহ থেকে আগত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৫২ ফ্লাইটে এ যৌথ অভিযান চালানো হয়। যাত্রীবিহীন একটি ট্রলি ব্যাগ তল্লাশি করে ৯৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
উদ্ধার করা ফোনগুলোর মধ্যে স্যামসাং ব্র্যান্ডের ৪৯টি স্মার্টফোন ও নকিয়া ব্র্যান্ডের ৪৬টি বাটন ফোন রয়েছে। আনুমানিক বাজারমূল্য ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে স্মার্টফোনগুলোর মূল্য ১৭ লাখ ১৫ হাজার এবং বাটন ফোনগুলোর মূল্য ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে সফল অভিযান পরিচালনা করেছে। উদ্ধারকৃত পণ্য বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ কেজি ২৯৮ গ্রাম গাঁজা, ১২৭ পিস ইয়াবা, ৩৪ দশমিক ৩ গ্রাম হেরোইন ও ৪ পিস এ্যাম্পুল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারদের নামে থানায় ১৩টি মামলা হয়েছে বলেও জাননো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি সভা করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সভায় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাবির সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদের কার্যালয়ে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দল। এ সময় কথা না বলেই তাদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিছিল নিয়ে যান ঢাবির সহ-উপাচার্যের বাসভবনের দিকে। নীলক্ষেত মোড়ে পৌঁছালে মিছিলটি ঢাবি শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, যা এক পর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে। ঘটে ইট-পাটকেল নিক্ষোপ ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
পরে ঢাবির সহ-উপাচার্যের বহিষ্কার দাবিতে রাজধানীর ৭টি পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি সভায় বসছেন ঢাবি উপাচার্য।
কয়েক বছর আগেও যেখানে ইট ভাটার পরিত্যক্ত চিমনি, পোড়া মাটি ও উচুঁ নিচু কৃষি জমি ছিল সেখানে এখন রঙ বেরঙের দেশি বিদেশি ফুলের সমারোহ। খাগড়াছড়ি শহর থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরের মহালছড়ির মুড়াপাড়ায় ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগে পাল্টে গেছে পুরো দৃশ্যপট।
আইন বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকে এমন উদ্যোগ নেন মহালছড়ির স্বপ্নবাজ যুবক খালেদ মাসুদ সাগর। স্থানীয়ভাবে ২ একর জমি ইজারা নিয়ে ২০২৪ সালে শুরু করেন ফুলের চাষ। শুরুতে শতাধিক প্রজাতির দেশি বিদেশি ফুল নিয়ে শুরু করলেও একবছরের ব্যবধানে বেড়েছে এর পরিধি। এখন ২ শতাধিক ফুলের ৪শ' প্রজাতির মতো ফুল চাষ হচ্ছে এখানে। নিজের স্বপ্নের এ উদ্যোগের নাম রেখেছেন 'স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ'। সারাবছর স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজে ফুল ফুটলেও শীত মৌসুমে এর পরিমাণ বেড়ে কয়েকগুণ।
বর্তমানে স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ ফুল ও প্রকৃতি প্রেমী দর্শনার্থীদের কাছে নতুন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এগ্রো ইকো ট্যুরিজম ধারণার দিকে এগোচ্ছে এ উদ্যোগ। প্রতিদিন বিকেলে এ ফ্লাওয়ার ভিলেজে স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসছেন। নাম মাত্র প্রবেশ ফি-তে ফ্লাওয়ার ভিলেজে এসে খুশি নানা বয়সী দর্শনার্থী। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফ্লাওয়ার ভিলেজের এক প্রান্তে ছোট একটি কফি কর্ণার-কাম-রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন প্রান্তে ফটো বুথ তৈরি করা হয়েছে।
রাঙামাটির নানিয়ারচর থেকে ঘুরতে আসা কাজল চাকমা জানান, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। এক সাথে এত ফুলের সাথে পরিচিত করানোর এমন সুযোগ তিন পার্বত্য জেলার আর কোথাও নেই। একদিকে যেমন ঘোরাঘুরি হচ্ছে অন্যদিকে শিক্ষণীয় বিষয় আছে। এক কথায় ভালো উদ্যোগ।
মহালছড়ির বাসিন্দা মিতা ধর জানান, মহালছড়িতে বিনোদনের তেমন সুযোগ নেই। স্বপ্নবিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ হওয়ার পর এখন মাঝেমধ্যে বিকেলে ঘুরতে
আসি। সময় কাটাই, ছবি তুলি। খুব ভালো সময় কাটে ফুলের সাথে।
খাগড়াছড়ির বাসিন্দা দিদারুল আলম জানান, প্রায় সময় এখানে এসে চেনা অচেনা ফুল দেখি। পছন্দ করে বাড়িতে নিয়ে যায়। আজকেও এসেছি বারান্দার জন্য ফুলের চারা নিতে।
উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর বলেন, কৃষি খাতের প্রতি আগ্রহ থাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি আগে থেকে ফল বাগান ও নার্সারী করতেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষে চাকরী ও আইনপেশায় যেতে মন টানেনি। তাই পুরোদস্তুর কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে শুরু করি। খাগড়াছড়িতে বিশেষ করে মহালছড়ির আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তাই আমার পাশাপাশি অন্যান্যদের এ খাতে আসতে উদ্বুদ্ধ করছি। স্থানীয়ভাবে কৃষি বিভাগ কোন সহযোগীতা না করলেও কেউ যদি চান আমি যা জানি তা থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের পাশে থাকব। আগামীতে আরও বেশী মানুষকে এ উদ্যোগ সম্পর্কে জানান দিতে ফুল উৎসব করার পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন বলেন, খাগড়াছড়ির আবহাওয়া ফুল চাষের উপযোগী। যদি কেউ ক্ষুদ্র পরিসরেও দেশি-বিদেশি প্রজাতির ফুল চাষ করেন তাহলে লাভবান হবেন। কারণ ফুলের বাণিজ্যিক চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।