সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই: মির্জা ফখরুল
সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, দুটোই একসাথে চলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানী শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাজারে পুষ্পার্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব বলেন।
এসময় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দিয়েছে তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ ঐক্যমত ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব না।
অনেকে বলছেন জুলাই আগস্টে নির্বাচন অসম্ভব এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সংস্কার চলবে নির্বাচনও চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকারে আসবে তিনি এই সংস্কারগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের পক্ষে থেকে পরিষ্কার করে বলতে পারি প্রতিটি সংস্কার আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। তাছাড়া সংস্কার ও নির্বাচন একসাথে চলতে কোনো বাধা নেই।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্বে এসেছিলেন। তখন তিনি আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য খুব অল্প সময়ে সমস্ত ক্ষেত্রে সংস্কার করে কাজ শুরু করেছেন।
তিনি প্রথম সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনের ব্যবস্থা করেছেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতি পরিকল্পনা করেছেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে।
জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী দলের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মহান নেতার হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি হয়েছে। সেই দল সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আজ বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমানের পরে তার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া এই দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়ে দলকে আরও বেশি শক্তিশালী ও সাংগঠনিক করেছেন। আজকে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তার জন্য সবাই দোয়া করি। আজকে তারই আরেক যোগ্য উত্তরসূরি ওনার সন্তান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। যিনি হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।