জাকারিয়া পিন্টুর স্মৃতি ধরে রাখতে উদ্যোগ বাফুফের
বাংলাদেশের ফুটবল তো বটেই, খোদ দেশের ইতিহাসেরই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্র হয়ে ছিলেন জাকারিয়া পিন্টু। সেই তিনি গতকাল না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এরপর এখন প্রশ্ন উঠছে তার স্মৃতিকে রক্ষা করে রাখারও। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল জানালেন, বিষয়টা নিয়ে ভাবছে বাফুফে।
বাফুফে ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর স্মৃতি ছবি আকারে রক্ষায় সমর্থন আছে বাফুফে সভাপতির। তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি আমাদের ফুটবল ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম কিংবদন্তী। বাফুফে নির্বাহী সভায় আমরা এটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
তবে বাংলাদেশের কোনো স্টেডিয়ামের নাম তার নামে রাখা যায় কি না, সে প্রশ্নের জবাবে তাবিথ তাকালেন সরকারের দিকে। তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামগুলো সরকারের অধীনে। আমরা নির্বাহী সভায় আলোচনা করে এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারি।’
আজ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও বাফুফে ভবনে তার দুটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবে নেয়া হয়েছে পিন্টুর মরদেহ। সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠনে তিনি সহযোগী সদস্য ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার। প্রেসক্লাবে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হবেন এই কিংবদন্তি।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া পিন্টু গত সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে এই কিংবদন্তি ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
১৯৪৩ সালে নওগাঁয় জন্ম নেন জাকারিয়া পিন্টু। তবে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ১৯৭২ সালে ভূমিকার জন্য। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের শীর্ষ ফুটবলাররা গঠন করে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ফুটবল খেলা দিয়ে দেশের মানুষের মুক্তির পক্ষে বিশ্বজনমত তৈরি করে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন পিন্টু।