ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পদত্যাগ করলে বা তার মৃত্যুর পর দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন অস্থায়ী উত্তরসূরি মনোনীত করেছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে তার প্রস্থানের পর ফিলিস্তিনে ক্ষমতার শূন্যতা নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল তার সমাধান হলো।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনী ন্যাশনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে সেটি ৯০ দিনের বেশি নয়। এই সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন ৭৫ বছর বয়সী রাউহি ফাত্তুহ। ২০০৪ সালে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর তিনি সাময়িক নেতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
৮৯ বছর বয়সী আব্বাস ২০০৫ সাল থেকে ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার নিয়মিত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তার উত্তরসূরি কে হতে পারেন তা নিয়ে বারবার জল্পনা-কল্পনা হয়েছে, তার কোনো উপ-প্রেসিডেন্ট নেই।
এক সূত্র জানায়, এই মাসের শুরুতে সৌদি আরব তাকে একজন উপযুক্ত উত্তরসূরি মনোনীত করার জন্য চাপ দিয়েছে। এর পর উত্তরসূরি ঘোষণায় তার মৃত্যুর পরের পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে। তবে ফাত্তুহকে তার ডেপুটি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়নি। ফলে দীর্ঘমেয়াদে আব্বাসের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা নিয়ে এখনও অস্পষ্টতা রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে একদল বিদেশি সাংবাদিককে ইসরায়েলের কৃষিমন্ত্রী আভি ডিখটার বলেছেন, যদি হামাসের কোনো নেতা প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীর দখল করবে। ২০০৫ সালে আব্বাস চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
বর্তমানে তিনি অত্যন্ত অজনপ্রিয়। গত সেপ্টেম্বরের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, পশ্চিম তীরের ৮৯ শতাংশ ফিলিস্তিনী তার পদত্যাগ চান।