ঢাকাই সিনেমার বাজার বেশ মন্দা। তাই নতুন সিনেমার খবরও সেভাবে নেই। তারকাদের হাতেও নতুন সিনেমা আসছে না বললেই চলে। আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণিও দীর্ঘদিন নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারছেন না।
তাই জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্র্যান্ড ইমেজকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে চলছে ফেসবুক কনটেন্ট আপলোড। নিয়মিত ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করেন এই নায়িকা। বিপুল সংখ্যক (দেড় কোটির বেশি) ফলোয়ারসমৃদ্ধ নিজের ফেসবুক পেজে পরী আজও আপলোড দিয়েছেন তার মেয়ের একটি আদুরে ভিডিও। তাতে এরইমধ্যে প্রায় দুই মিলিয়ন ভিউজ হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
ব্যান্ড প্রমোশনের পাশাপাশি তারকারা স্টেজ শোতেও মন দিয়েছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে। যেমন, সম্প্রতি কাতারের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায় সুপারস্টার শাকিব খানকে। একই অনুষ্ঠানে ছিলেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও।
শাকিব খানের পর এবার পরীমণি যাচ্ছেন দেশের বাইরে পারফর্ম করতে, তাও আবার সেই একই দেশে। এ নিয়ে একটু আগেই নিজের ফেসবুকে পরী লিখেছেন, ‘আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার, আমি আসছি এশিয়ান টাউন এম্ফিথিয়েটার, দোহা, কাতারে। হ্যালো সুপারস্টার-এর আয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কাতারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশী রমিটেন্স যোদ্ধাদের সম্মানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘দি গ্র্যান্ড কালচারাল শো’ হতে যাচ্ছে। এই শোতে আমার সাথে দেশ ও বিদেশের আরও একঝাঁক নামি তারকারা থাকছেন। এই ‘গ্র্যান্ড কালচারাল শো’তে কাতারে অবস্থানরত সবার আমন্ত্রণ রইল।’
ঢালিউডের ইতিহাসে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’কে বলা হয় সর্বকালের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। এই ছবিটির কথা এলেই যার চেহারাটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি অঞ্জু ঘোষ। এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সে সময় দুই বাংলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন তিনি। একটা সময় তুমুল ব্যস্ত সময় পার করা এই নায়িকা দীর্ঘ সময় ধরে কলকাতায় বসবাস করছেন। অনেক আগেই সিনেমাকে ইতি জানিয়েছিলেন।
তবে মাঝে দেশে এসেছিলেন। ঘুরে গিয়েছেন এফডিসি। তখন শোনা গিয়েছিল আবারও সিনেমায় সরব হবেন অঞ্জু ঘোষ। তবে অনেকটা বছর পেরিয়ে গেলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। গণমাধ্যমেও সেভাবে তাকে কথা বলতে দেখা যায় না।
এবার জানা গেল, নতুন সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন অঞ্জু ঘোষ। আপাতত চলছে গল্প ও চিত্রনাট্যের কাজ। সম্প্রতি দেশীয় এক গণমাধ্যমে এমনটাই জানালেন নায়িকা। তিনি বলেন, ‘একটি পরিপূর্ণ সিনেমাই বানাবো আমরা। দর্শক আমার এই সিনেমায় সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনা সবকিছুই দেখতে পাবেন।’
নতুন বছরে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে চান তিনি। এখন সেই প্রক্রিয়াই চলছে। সেই সঙ্গে জানালেন এতে মুম্বাইয়ের অভিনয়শিল্পীরা কাজ করবেন। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অঞ্জু ঘোষ বলেন, কলকাতায় আমি বেশ ভালো আছি, শান্তিতে আছি। কাজ নিয়ে ব্যস্ত হচ্ছি। এটাই আমার জন্য বড় পাওয়া।
তবে মাঝে-মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। বিশেষ করে ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে তাকে নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট খবর প্রকাশ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অঞ্জু বলেন, ‘যারা এসব মিথ্যাচার করছেন তাদের জানাতে চাই, অভিনয় করে আমি যে অর্থ, সম্মান অর্জন করেছি তাতে ভগবানের কৃপায় আমার পরের সাত প্রজন্ম চলে যেতে পারবে। যারা আমার অবস্থান নিয়ে মিথ্যাচার করছে তাদের জানাতে চাই, বর্তমানে আমি যে সল্টলেকের বাড়িতে থাকি তার বাজারমূল্য তারা অনুমান করতে পারবেন না। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে- হাতি মরলেও লাখ টাকা। আর অঞ্জু ঘোষ হাজার বছরে একজনই জন্মায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র আমি ১৬ বছর বয়সে তিন তিনবার তাসখন্দ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হয়েছি; যা একজন অভিনেত্রীর জন্য রেকর্ড। আমাকে নিয়ে বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সিনেমা করার। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে।’
১৯৮২ সালে এফ, কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে অঞ্জু ঘোষের। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। ১৯৮৬ সালে ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও তিনি ভালোভাবেই ফিরে আসেন। ১৯৮৭ সালে অঞ্জু সর্বাধিক ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে অঞ্জু অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে অঞ্জু ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি মোট ৩০০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় তারকা জুটি দেব ও রুক্মিণী মৈত্র। তাদের প্রেম-ভালোবাসার কথা সবারই জানা। বেশ আগেই প্রেমের কথা সবাইকে জানিয়েছেন তারা। এমনকি হ্যাপি প্রেমিকযুগলের তকমাও পেয়েছেন দেব-রুক্মিণী।
আগামী ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে দেব অভিনীত সিনেমা ‘খাদান’। বহুচর্চিত এই সিনেমা মুক্তির আগেই দেব- রুক্মিণীর সম্পর্ক নিয়ে টালিপাড়ায় চর্চা তুঙ্গে।
তবে হঠাৎ কি হলো দেব-রুক্মিণীর। আর কেনই বা ভালোবাসার মানুষকে ‘আনফলো’ করলেন রুক্মিণী। তবে কি চিড় ধরেছে তাদের সম্পর্কে? এবার রুক্মিণী এবং বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেব।
ইন্সটাগ্রামে দেবকে আনফলো করলেও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে দুজনকে দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে এই জুটির। ‘খাদান’ সিনেমার প্রচারণার কারণেই নাকি দেব-রুক্মিণীর মাঝে যত ঝামেলা।
এদিকে, বিষয়গুলো ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেব। সকল বিতর্কে জল ঢেলে নিন্দুকদের একহাত নিলেন অভিনেতা। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি।
দেব বলেন, রুক্মিণী আমাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করছে কি ফলো করছে না সেটা নিয়ে আমি দশজনকে কী উত্তর দেব। আমার সঙ্গে রুক্মিণীর সম্পর্কটা কী সেটা তো আমি কাউকে বলে বোঝাতে পারব না। রুক্মিণীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে, আরও মজবুত হয়েছে।
অভিনেতা আরও বলেন, কে কী বলল, কে কী লিখল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জায়গায় খুব ভালো আছি, সুস্থ আছি। যেটা খুব দরকার। আমরা পরস্পরের কাজ নিয়েও খুব খুশি।
দেব জানান, ‘খাদান’ শুরুর আগে সরে দাঁড়ান এক প্রযোজক। সেসময়ই রুক্মিণী আগলে রেখেছিলেন অভিনেতাকে। তাই রুক্মিনী দেবের ‘শক্তি’।
তিনি বলেন, ‘রুক্মিণী বলেছিল, তোমার যখন ইচ্ছে হচ্ছে তুমি খাদানই করবে। তাই সেই মানুষটা আমাকে ইন্সটাগ্রামে ফলো করল কিনা সেটা নিয়ে কাউকে আমি বলে বোঝাতে পারব না।’
৪ ডিসেম্বর ‘পুষ্পা ২’র বিশেষ প্রদর্শনীতে হায়দরাবাদে পদপিষ্ট হয়ে এক ভক্তের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গ্রেফতার করা হয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে। এরপর প্রথমে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয় তাকে। যদিও পরে সন্ধ্যার দিকে উচ্চ আদালত অভিনেতার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ততক্ষণে আল্লুকে পাঠানো হয়েছে জেলে। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় তাকে।
কারণ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় রাতে জেল থেকে ছাড়া হয়নি অভিনেতাকে। রাখা হয়েছিল হায়দরাবাদের চঞ্চলগুড়া জেলে। কিন্তু জেলে কেমন করে রাত কাটালেন এই তারকা? কী করেছিলেন, কী খেয়েছিলেন সেই রাতে? এবার প্রকাশ্যে এল সেই সকল তথ্য।
এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে রাতে আল্লু অর্জুন জেলে ছিলেন, সেই রাতে তিনি নাকি কোনও বিশেষ ব্যবস্থা দাবি করেননি। আল্লু অর্জুন সেদিন রাতে খেয়েছিলেন সাধারণ ভাত আর সবজির ঝোল। কোনোরকম বিশেষ কোনও ব্যবস্থাই তিনি দাবি করেননি। বিশেষ কোনও রুমের ব্যবস্থাও করে দিতে বলেননি তার থাকার জন্য। অভিনেতা একদম সাধারণ যেকোন বন্দির মতোই জেলে রাত কাটিয়েছেন। কোনওরকম বিশেষ পরিষেবা তিনি নেননি।
তবে অভিনেতাকে আটক করার সময় পুলিশি জিপ নয়, সাধারণ গাড়ি করে নিয়ে এসেছিলেন পুলিশকর্তারা। গাড়িতে করেই নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেতাকে।
হায়দরাবাদের একটি প্রিমিয়ারে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে এক মহিলার পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আল্লু অর্জুনকে। হল মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ছবির প্রিমিয়ারে আল্লু নিজে উপস্থিত হবেন তা আগে থেকে জানানো হয়নি তাদের, ফলে জনসমাগম সামলানোর পরিকাঠামো বা ব্যবস্থাপনা করতে পারেননি তারা।
আল্লু অর্জুনের টিমের তরফ থেকে কেন পুলিশকে জনসমাগমের বিষয়ে আগে থেকে যথাযথভাবে অবগত করা হয়নি, সেই অভিযোগ উঠেছিল অভিনেতা ও তার টিমের বিরুদ্ধে।
পরিচালক কাজল আরেফিন বানাচ্ছেন ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’। গত মাস থেকে এই ওয়েব ফিল্মের শুটিং চলছে। ১৪তম দিনে এসে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এই ওয়েব ফিল্মের তিন প্রধান অভিনয়শিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ ও সাইদুর রহমান পাভেল আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার দুপুরে পরিচালক এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তার এই ওয়েব ফিল্মের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ অভিনয়শিল্পী দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এরপর তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পরিচালক জানান, ঢাকার পাশেই জিন্দা পার্কে শুটিংয়ের সময় গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর ফারিণ ও পাভেলকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া শেষে সন্ধ্যায় ফারিণকে হাসপাতাল ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হলেও পাভেলকে থাকতে হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর তার এমআরআই করানোর কথা। এরপর প্রতিবেদন দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে পরিচালক কাজল আরেফিন বলেন, ‘আমরা ঢাকার পাশে জিন্দা পার্কে শুটিং করছিলাম। একটি দৃশ্য ছিল এমন, বাজারের মধ্যে স্কুটিতে করে আসবেন অপূর্ব ভাই, ফারিণ ও পাভেল। একটা নির্দিষ্ট মার্ক দেওয়া ছিল, যেখানে এসে স্কুটি থামবে। কথা ছিল, ফারিণ স্কুটি চালাবে, অপূর্ব ভাই ও পাভেল পেছনে বসা থাকবেন। কিন্তু ফারিণ স্কুটি চালাতে না পারায় দায়িত্ব পড়ে পাভেলের ওপর। সে নিয়মিত স্কুটি চালায়ও। তাই দৃশ্য অনুযায়ী পাভেল চালাবে, পেছনে বসা ছিলেন ফারিণ ও অপূর্ব ভাই। মাটির রাস্তাটায় বালু বালু ছিল। স্কুটি একটা জায়গায় এসে ব্রেক করার কথা। পাভেল ব্রেকও করেছিল। নামার সময় পা পিছলে পড়ে যায়। অপূর্ব ভাই ভারসাম্য বজায় রেখে দাঁড়িয়ে গেলেও পাভেল আর ফারিণ পারেনি। দুজনের আঘাত পরিমাণে বেশি হলেও অপূর্ব ভাই শুধু কবজিতে আঘাত পান।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পরিচালক কাজল আরেফিন আরও বলেন, ‘অপূর্ব ভাই স্কুটি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে যেতে পেরেছিলেন। কবজিতে ব্যথা পেয়েছেন। ফারিণ এমনভাবে পড়েছে, মাথায় এমনভাবে আঘাত লেগেছে, যেকোনো কিছুই ঘটতে পারত। ভাগ্য ভালো, মাটির রাস্তা হওয়ার কারণে মাথা ফাটেনি। অন্যথায় বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে ফারিণের হাত-পা প্রচুর ছিলে গেছে। ব্যথাও পেয়েছে। স্কুটির হ্যান্ডেল পাভেলের বুকে লাগার কারণে ওর পাঁজরে একটা ক্র্যাক হয়েছে। যেটার কারণে পাভেলকে হাসপাতালে আজ পর্যন্ত ভর্তি থাকতে হয়েছে। আজ এমআরআই করানো হবে। এরপর আজ রাতে জানা যাবে, তাকে হাসপাতালে আরও রাখা লাগবে কি না। ফারিণকে অবশ্য গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
এক স্কুটিতে তিনজন বসল কীভাবে, এমন প্রশ্নে কাজল আরেফিন বলেন, ‘স্কুটিতে তিনজন কিন্তু বসা যায়। আমাদের দৃশ্যের প্রয়োজনে তিনজনকে দেখানো লাগতও। সেভাবেই আয়োজন করা হয়েছে।’
কথায় কথায় পরিচালক বললেন, ‘আমাদের শুটিং বাকি আর তিন দিন। আমরা ১৩ দিন শুটিং করলাম, ১৪ দিনের মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটল। এখন ওই বাজারের শুটিং পুরোটা আবার করতে হবে। অনেক বড় একটা সেট বানানো হয়েছিল। বাজারের এই সেট বেশ ব্যয়বহুল। এই সেটে প্রথম দিন শুটিং করতে পারিনি বলে ভাড়া দিয়ে এক দিন রেখে দিয়েছিলাম। গতকাল ভেবেছি, শুটিং করে শেষ করতে পারব। এই সেটের মধ্যে বাজারের দোকানদার, অতিথি শিল্পী-সবকিছু মিলিয়ে ৮৬ জন মানুষকে পর্দায় দেখা যাবে। আবার সবাইকে নিয়ে আয়োজনটা করতে হবে। দুর্ঘটনার কারণে আমাদের এখন পুরোটা নতুনভাবে আয়োজন করতে হবে। কারণ, এই দৃশ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’