আবারও ভালোবাসা দিবসের জন্য জুটি বাঁধলেন ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ‘তোমায় পাবো কি?’ নাটকে দেখা যাবে তাদের রসায়ন। চট্টগ্রামের সিআরবি, বাটালি হিল, পতেঙ্গা, বায়েজিদ লিঙ্ক রোড, পারকি বিচ, নিউ মার্কেট, চারুকলায় গত ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি নাটকটির শুটিং হয়েছে।
‘তোমায় পাবো কি?’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি। তিনি বলেন, ‘আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আদর ও যত্নে বানানো নাটক এটি। মায়া আর আবেগ দিয়ে নির্মাণের চেষ্টা করেছি। এটি আমার কাছে নতুন একটা এক্সপেরিমেন্ট। লেখা থেকে শুরু করে এখন পোস্টের কাজ অবধি রুদ্র ও চিত্রাকে আমার মনের ভেতরে ধারণ করে রেখেছি। দর্শকরা আমাদের কাজ পছন্দ করলেই সব কষ্ট সার্থক হবে।’
বিজ্ঞাপন
‘তোমায় পাবো কি?’ নাটকে রুদ্র চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। ছেলেটি গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে সংগ্রাম করছে। তার আশা, একটা জুতসই সুযোগ পেলেই ভাগ্যবদল হবে। সেই অপেক্ষায় আছে সে।
আর চিত্রা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। মেয়েটি একটি ছিমছাম পরিবারে বেড়ে উঠেছে। রুদ্রর সঙ্গে তার কয়েক বছরের সম্পর্ক। এতোদিনের সম্পর্কে সে একবারের জন্যও রুদ্রকে হতাশ হতে দেয়নি। রুদ্র যখনই ভেঙে পড়েছে, প্রতিবার স্তম্ভ হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে চিত্রা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে চিত্রা সিদ্ধান্ত নেয়, পোস্ট-গ্রাজুয়েশন করতে অস্ট্রেলিয়া যাবে। তবে যাওয়ার আগে বিয়ে করার চাপ দেয় পরিবার। চিত্রা তখন রুদ্রর কথা জানায়। কিন্তু তারা এই বেকার ছেলেকে মানতে নারাজ। একইভাবে রুদ্র পায়ের তলার মাটি শক্ত না থাকায় বিয়ে করতে রাজি হয় না। ফলে মেয়েটি কষ্ট নিয়ে চলে যায় বিদেশে।
রুদ্র একসময় গানের বড় তারকা বনে যায়। চিত্রা গ্রাজুয়েশন শেষ করে দেশে ফিরে। সে রুদ্রর সঙ্গে দেখা করতে চায়। তাদের কি আদৌ দেখা হবে আবার? সেই উত্তর মিলবে নাটকে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করবেন মর্মে জানান তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী)।
মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে অভিনেত্রী পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় চার্জগঠন করে রোববার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির দিনে আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ওইদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আগামী ২০ মার্চ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য আছে।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বোটক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরীমণি সাভার থানায় নাসিরসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। বর্তমানে এই মামলাটি ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
আজ শোবিজের সবচেয়ে আলোচিত খবর ঢালিউড নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত আজ রোববার এই আদেশ দেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমনি।
তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। তাই ঘুমাচ্ছিলাম। দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি। ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে খবরটা দেখলাম। আমি আজ আদালতে যেতে পারিনি। এর আগেও একবার যেতে পারিনি, সেবার আমার মৃত নানুর একটা বিষয় ছিল। সে হিসেবে পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছিও। আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, আজকে আমার অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। সচেতন নাগরিক হিসেবেও মনে করছি, যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শরীর অনেক বেশি খারাপ ছিল। শরীর অসুস্থ থাকলে তো কিছুই করার নেই। আমি বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ঠিক থাকলে আমি তো আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়টায়ও কিন্তু আমি আদালতে যাওয়া বাদ দিইনি।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবরে আপনি কতটা চিন্তিত? জানতে চাইলে এই নায়িকা বলেন, ‘পরিচিত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবাই অনবরত ফোন করছে, খোঁজখবর নিতে। এটা তো আমার জন্য বাড়তি একটা যন্ত্রণা। বিব্রতকরও। উটকো ঝামেলা বলতে পারেন। তবে আমি ভীত না। এখানে ভয়ের কিছু নেই। আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। জামিনের জন্য আবেদন করবেন আমার আইনজীবী ‘
ফেসবুকে অনেকে লেখালেখি করছেন, টাঙ্গাইলের অনুষ্ঠানে যেতে না পারা নিয়ে গতকাল পরী পোস্ট দেওয়ার পরপরই দ্রুত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার যোগসূত্র আছে। এ প্রসঙ্গে পরী বলেন, ‘যে যা মন চায় ভাবুক—এসব নিয়ে আমি কিছুই ভাবতে চাই না। আমার কোনো কিছুতে সমস্যা মনে হলে আমি কথা বলবই। আমার গায়ে লাগলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। সবার মতো আমি চুপ করে থাকতে পারি না। যেকোনো অন্যায় নিয়ে আমি কথা বলছি। এই অন্যায় নিয়ে কথা বলার কারণে আমাকে যদি বারবার জেলে যেতে হয়, আমি গেলাম। আর কী করব। কিছু হলেই জেলে পাঠাবে, তাহলে তো দেশের কেউ কথাই বলবে না। সবাই বোবা হয়ে থাকবে? আমৃত্যু আমি অন্যায় দেখলে কথা বলব, যা আছে কপালে।’
ঢাকাই বিনোদন জগতের চিত্রনায়িকা নিঝুম রুবিনাকে অপহরণে চেষ্টাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অভিনেত্রী নিজের ফেসবুকে ছবিসহ সেই ড্রাইভারের নাম প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন। ‘মোহাম্মদ রনি’ নামের সেই ব্যকি্তর ছবির পাশে নিঝুম লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ উবার চালক সেই আসামিকে আজকে সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) জানা যায়,রা ইড শেয়ারিং অ্যাপে গাড়ি ডেকে রাজধানীর বনশ্রী থেকে ধানমন্ডি যাওয়ার পথে অপহরণের চেষ্টার শিকার হন চিত্রনায়িকা নিঝুম রুবিনা। পরে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশের মাধ্যমে জানা গিয়েছিল অপহরণের চেষ্টায় ব্যবহৃত গাড়িটি আরেক চিত্রনায়িকার। যদিও পুলিশ বা নিঝুমের পরিবার থেকে সেই নায়িকার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে, অপহরণের চেষ্টায় তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা-তার তদন্ত চলছিল।
ঘটনার দিন নিঝুম রুবিনা হাতিরঝিলে উবার চালকের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের শিকার হন। মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে অপহরণের চেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরেন নিঝুম রুবিনা লেখেন, ‘আমার স্বামী গ্রামের বাড়ি গিয়েছে যে কারণে নিজের গাড়ি রেখেই বের হতে হবে। কারণ আমি ড্রাইভিং পারি না। যে কারণে উবার কল করি বনশ্রী থেকে ধানমন্ডি যাবো। উবার চালক হাতিরঝিলে উঠে সরাসরি ধানমন্ডির রোডে না ঢুকে গুলশানের দিকে প্রবেশ করে। জানতে চাইলে বলেন, ‘‘আপনার লোকেশনেই যাচ্ছি, চুপ থাকেন’।
তিনি আরও লেখেন, ‘মঙ্গলবার রাস্তা ফাঁকা তারপরও সে গুলশান রোডে ঢুকেছে। তখন তার গাড়ির স্পিড প্রায় ৮০ থেকে ১০০। অনেক হাই স্পিডে গাড়ি টেনে যাচ্ছিল। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহ লাগে। তাকে বলি আমাকে এখানেই নামিয়ে দেন। তখন সে আমাকে বলল,‘‘চুপ থাক, কোনো কথা বলবি না।’’ তারপর আমি গাড়ির গ্লাস তুলে বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার শুরু করি। কারো সাড়া পাইনি। একটা পর্যায়ে গাড়ির গতি একটু কম মনে হলে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যাই।
নিঝুম রুবিনা লেখেন, আমরা কোন দেশে বসবাস করছি? দিনে দুপুরে কি আমাদের নিরাপত্তা পাব না? উবার থেকে যদি এমন হয় তাহলে আমরা কাকে ভরসা করব? আজকে যদি গাড়ি থেকে যদি জাম্প করে না নামতাম তাহলে আমাকে খুঁজে পাওয়া যেত না।
ঢাকাই সিনেমার উঠতি নায়িকা রাজ রিপার আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আবুল বাশার নামে এক সিনেমা প্রযোজক। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানাধীন ‘রাতের কাবাব’ নামে এক রেস্টুরেন্টে।
এ ঘটনায় আহত আবুল বাশারের মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে বর্তমানে তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় বাশারের ভাই মো. আব্বাস বাদী হয়ে ১৮ জানুয়ারি গুলশান একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলার নাম্বার ২২। মামলাটি ৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ ধারায় (পেনাল কোড ১৮৬০) লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে থানা থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। মামলায় এক নাম্বার আসামী চিত্রনায়িকা শারমিন আফরোজ রিপা ওরফে রাজ রিপা, দুই নাম্বার আসামী চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরী ও তিন নাম্বার আসামী রাজ রিপার স্বামী শামীম আহমেদ শিশির ওরফে চিত্রনায়ক শিশির সরদার।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেছেন, ১৪ জানুয়ারি প্রযোজক আবুল বাশার ও তার ভাগ্নে আবু রায়হান রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের রাতের কাবাব রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। তখন চিত্রনায়িকা রাজ রিপা ও তার স্বামী শিশির সরদার এবং চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীরও সেখানে যান। ডিনার শেষে রাজ রিপা প্রযোজক আবুল বাশারের কাছে চাষী নামে তার সাবেক ড্রাইভারের বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। আবুল বাশার এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বললে রাজ রিপা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যবহৃত স্যামসাং এস-২৪ আলট্রা ব্রান্ডের মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়।
আবুল বাশার তাতে বাধা দিলে রাজ রিপা মোবাইল দিয়ে একাধিকবার পূর্ব পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে। একই সময় চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীও আবুল বাশারকে খাবার টেবিলে থাকা কোল্ড ড্রিংকসের কাঁচের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। অতর্কিত আক্রমনে মাথায় আঘাত পেয়ে আবুল বাশার ফ্লোরে পড়ে গেলে শিশির সরদার তাকে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এ সময় আসামীরা আবুল বাশারের গলার পরা ২ ভরি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাই সিনেমার আরেক নায়িকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আক্রমন করে রাজ রিপা, ইফতেখার চৌধুরী ও শিশির সরদার চলে যাওয়ার পর আহত আবুল বাশারকে রেস্টুরেন্টের উপস্থিত লোকজন গুলশানের সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনা নিয়ে চিত্রনায়িকা রাজ রিপার কাছে জানতে চেয়ে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরীও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ রেখেছেন।
অন্যদিকে মামলার বাদী মো. আব্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আসামীরা আমার ভাইয়ের পূর্ব পরিচিত। তাই একসঙ্গে বসেই কথা বলছিলেন। কথা বলার একপর্যায়ে আমাদেরই এক পুরনো ড্রাইভারের বিষয়ে জানতে চান তারা। ওই ড্রাইভারের সঙ্গে হয়তো আসামীদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আমার ভাই পুরনো ড্রাইভারের খোঁজ দিতে পারেনি। তিনি সেই ড্রাইভারের বর্তমান অবস্থানও জানেন না। তাই আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছেন। তার মাথার আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, তাকে সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিটচ)-তেও রাখতে হয়েছিল। মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি কিছুটা শংকামুক্ত। সেলাই কাটা হয়েছে। যেহেতু মাথায় আঘাত, তাই চিকিৎসকরা তাকে অবজার্ভেশনে রেখেছেন। আসামিরা আমাই ভাইয়ের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে, যা আমি মামলায় উল্লেখ করেছি।’
এদিকে মামলার অগ্রগতি নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার সাব ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়েও কাজ চলছে।’
বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা রাজ রিপা জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের সদস্য ছিলেন। খুলনা বিভাগে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন। তবে ব্যাডমিন্টনকে বিদায় জানিয়ে ২০২০ সালে সিনেমায় নাম লেখান। রায়হান রাফি পরিজালিত ‘দহন’ নামে সিনেমায় একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়া ইফতেখার চৌধুরীই ‘মুক্তি’ সিনেমাতে কাজ করেছেন। এরপর অভিনয় করেছেন ‘ময়না’ ও ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ’ সিনেমায় কাজ করেন।
অন্যদিকে চিত্রপরিচালক ইফতেখার চৌধুরী অনন্ত জলিলের প্রথম সিনেমা ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ পরিচালনার মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় পা রাখেন। এরপর তিনি একাধিক সিনেমা নির্মাণ করেন। রাজ রিপাকে নিয়েও তিনি ‘মুক্তি’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। গতবছর সোশ্যাল মিডিয়ায় ইফতেখার চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন রিপা।