৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । পূর্ব ঘোষণা অনুসারে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করেন তিনি। এসব নির্বাহী আদেশের মধ্যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল অন্যতম।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরে যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, তার মধ্যে একটি হচ্ছে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন তিনি।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের দেড়শ' বছরের পুরোনো সাংবিধানিক অধিকারকে 'হাস্যকর' দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পাবেন এটা কোন সঠিক সাংবিধানিক অধিকার হতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, তিনি অভিবাসনের অনেক পুরোনো একটি নীতির অবসান ঘটাতে যাচ্ছেন। এই নীতির কারণে স্কুল ও চার্চে অভিযান চালাতে পারত না কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই এই নীতি পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ, মার্কিন সংবিধানে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণ করে বিভিন্ন ধরনের নির্বাহী আদেশ জারি করা মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য সাধারণ একটি বিষয়। এ ধরনের আদেশের আইনি ভার আছে। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বা আদালত এসব আদেশ চাইলে বাতিল করতে পারেন।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২০০টি নির্বাহী আদেশের ঘোষণা দিতে পারেন ট্রাম্প। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই বেশ কিছু চমক দিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই অভিবাসী বিতাড়নসহ, মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা, জাতীয় সীমান্তে জরুরি অবস্থা ও দক্ষিণ সীমান্ত সুরক্ষা সহ বেশ কিছু আলোচিত ইস্যু নিয়ে বক্তব্য রাখেন।