চৌদ্দগ্রামে পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ
বন্যা পরিস্থিতিটানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা। এখনো পানিবন্দি আছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। উপজেলার কাশিনগর, মুন্সিরহাট, শ্রীপুর, শুভপুর, উজিরপুর ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো গ্রাম এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে৷ এসব ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ ভিটেমাটি ছেড়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সকাল থেকেই বন্যায় প্লাবিত ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশের ৫ কিলোমিটার এলাকা। ফলে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যান চলাচল।
বিকেলে মহাসড়কে চৌদ্দগ্রাম অংশের পানি কিছুটা কমলেও ফেনীর লালপোল এলাকায় বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম।
এদিকে গতকাল রাত থেকে সম্পূর্ণ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ধীরগতিতে চলছে মোবাইল ইন্টারনেট। ফলে বেশকিছু এলাকার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, উদ্ধারকারী দল এখনো অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে। কিছু এলাকায় শুকনো খাবার পোঁছাতে পেরেছি। তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখনো তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বুধবার রাতে চৌদ্দগ্রাম দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁকড়ি নদীর একটি অংশে বাঁধ ভেঙ্গেছে। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে নদীর বাঁধ ডুবে গ্রামে পানি ঢুকেছে। অন্যদিকে গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ আরিফুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা কুমিল্লায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।