দিনে শীতল হাওয়া রাতের শিশিরবিন্দুতে ভেজা ঘাস জানান দিচ্ছে শীতের আগনী বার্তা। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘন কুয়াশা ঘনিয়ে শীত আসতে না আসতেই জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বেচাকেনা। অন্য দিকে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা।
ঋতু বৈচিত্রে রাতে হালকা কুয়াশা আর দিনে হালকা গরম থাকলেও রাতে ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ঠাণ্ডা নিবারণের জন্য এ শহরের মানুষ শীতের শুরুতেই লেপ-তোষক বানাতে শুরু করেছে। দোকানগুলোতে শুরু হয়েছে এসব কাজের ভিড়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায় দোকানদার যেমন বেচা-বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তেমনি লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
শীত বস্ত্রালয়ের কারিগর আরমান বার্তা২৪.কম কে বলেন, সবে মাত্র শীত শুরু হয়েছে। এবার এখন থেকে মানুষ আগাম লেপ-তোষক তৈরি শুরু করেছে। শুরুতেই প্রতিদিন ৭-৯টি করে অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো দিনে দিনে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তুলা কেজিতে মান বেড়ে ৫ থেকে ৭টাকা ও কাপড়ে গজে মান বেড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেশি হলেও পর্যাপ্ত তুলা ও কাপড় পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে নিউ মার্কেট এলাকায় জমে উঠেছে ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ছোট বড় সব বয়সীদের স্যুয়েটার, জ্যাকেট, কোট, গেঞ্জি, বেবিস্যুট, মাংকিটুপি, মোজাসহ নানা রংয়ের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। ঘন কুয়াশা ঘনিয়ে শীত আসতে না আসতেই এসব দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
শীতে নিজেদের একটু উষ্ণ রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নিম্নবিত্তের মানুষগুলো। তবে ফুটপাতে ভালো মানের পোশাক কম দামে পাওয়াতেই মধ্যবিত্তের ক্রেতারা পছন্দের পোশাকটি কিনছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে নানা রংয়ের ও ডিজাইনের শীতের পোশাক সাজিয়ে রেখেছে বিক্রেতারা। দাম কম হওয়ায় ব্যস্ত দোকানদাররা। পাশের আলোকসজ্জিত বড় মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা কম থাকলেও ফুটপাতের বাজারে গরম কাপড়ের বিক্রি বেড়েছে আগের চেয়েও বেশি।