বন্যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ১১ লাখ গ্রাহক
বন্যা পরিস্থিতিবন্যায় ১২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ লাখ ৯৭ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির, ওই সমিতির সবগুলো (১৭টি) উপকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ফেনী পল্লী সমিতির ৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৬ জন গ্রাহকের মধ্যে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৬ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমিতির মাত্র ৫০০ জন গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল রয়েছে। ফেনীর পর বেশি ক্ষতি শিকার হয়েছে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির, ওই সমিতির ২ লাখ ৫৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া ক্ষতির শিকার হয়েছে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, লক্ষীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কুমিল্লা-২ ও ৪, চট্টগ্রাম ১ ও ৩, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার সমিতির। এসব সমিতির বেশকিছু গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যা কমে গেলে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল ও জনবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফেনী সমিতির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা সম্ভব হয় নি, অন্যদের প্রায় ৮ কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে জানা গেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৯৭ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সংস্থাটির ৪৪টি খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।