পূজা মণ্ডপে ইসলামিক দলের গান: গ্রেফতার ২

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামের পূজা মণ্ডপের মঞ্চে 'ইসলামিক গান' গাওয়ার সঙ্গে জড়িতদের দুইজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আসামি গ্রেফতার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। দামপাড়া পুলিশ লাইনসের এই সংবাদ সম্মেলন হবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আসামির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এডিসি (পিআর) কাজী মো. তারেক আজিজ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর জেএমসেন হলে ইসলামিক দলের গান গাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জড়িতদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে জেএমসেন হল পূজা মণ্ডপের মঞ্চে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি গানের দল দুটি গান পরিবেশনা করে। সেই গানের ভিডিও পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা তৈরি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই গানের দলের ছয় সদস্য গান পরিবেশন করতে মঞ্চে ওঠে। সংগঠনটি শাহ্ আবদুল করিমের লেখা বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং চৌধুরী আবদুল হালিমের লেখা ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’-শীর্ষক গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান-গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের অনুমতি নিয়ে ওই গানের দলটি পূজা মণ্ডপে এসে গান পরিবেশ করেছে বলে জেনেছি। তবে ওই সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।’

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি-র সভাপতি সেলিম জামানও দাবি করেছেন পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই তাদের একটি দল পূজা মণ্ডপে গান করতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সজল বাবু আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলেন। তিনি ফোন করে বলেন ‘‘আপনারা একটু আসেন। আপনাদের একটু ফ্লোর (সুযোগ) দেব। কিছু দেশাত্মবোধাক গান গাইবেন।’’ সে আমন্ত্রণে গিয়ে আমাদের দলটি দুটি সম্প্রীতির গান করে। কিন্তু এটি নিয়ে একটা পক্ষ প্রচারণা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্র করতেই আমরা গান করতে গিয়েছি। আমরা তো জোরপূর্বক কিছুই করিনি। দাওয়াত পেয়েই গিয়েছিলাম।’