ফায়ার স্টেশন নয়, যেন সবজি বাগান
ময়মনসিংহের ভালুকা ফায়ার স্টেশন চত্বরের পতিত জায়গায়গুলো এখন সবজি বাগান। চত্বরে ঢুকলেই নজরকাড়ে লাল-সবুজের সমারোহ।
সরেজমিনে দেখা যায় ভালুকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের পিছনে অব্যবহৃত পরিত্যক্ত জায়গার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে সবজির বাগান করেছে। চাষ করেছে লাল শাক, পালং শাক, পুঁইশাক, কলমি শাক, ডাটা, শিম, কাঁচামরিচ, লাউ ফুলকপি, বাঁধাকপি, রঙিন কপি, টমেটো, সরিষা, পুঁদিনা পাতাসহ ২০ থেকে ২৫ প্রকার শাকসবজি।
এ পুষ্টি বাগান করতে সহায়তা করেছে ভালুকা কৃষি অফিস। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা ও কর্মীরা নিজ হাতে বাগান পরিচর্যা করেন। বাগানটির সব ধরনের শাক-সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। বাগানের ফল, শাকসবজি দেখে উচ্ছ্বসিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ভালুকা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, ভালুকা উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ভালুকা ফায়ার স্টেশনের অনাবাদি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ২০ থেকে ২৫ প্রকার শাকসবজি উৎপাদন করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই প্রশাসনের নজর কেড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ভালুকা ফায়রার স্টেশনের পক্ষ থেকে উপজেলা কৃষি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান বলেন, ভালুকা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে অনাবাদি পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় একটি সবজি বাগান করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বীজ, সার, বেড়াসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করছে- সাধারণ মানুষেরা এটা দেখে উৎসাহিত হয়ে বাগান করবে।
ফায়ার সার্ভিসের সুন্দর এই বাগান দেখে অন্যান্য সরকারি দফতর তাদের অনাবাদি পতিত জমিতে বাগান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।