সময় শেষ হলেও পূরণ হয়নি চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে চাল আমদানির সময়সীমা শেষ হয়েছে ১২ ডিসেম্বর। তবে সময় শেষ হলেও পূরণ হয়নি চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ভারতে চালের দামের উর্ধ্বগতির কারণে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম ছিল। এতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল আসেনি।

জানা যায়, দীর্ঘ আড়াই বছর পর ব্যবসায়ীরা চাল আমদানির অনুমতি পেয়ে গত ২৫ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সরকার দেশের ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে ৩ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল চাল আমদানি।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট, অর্ক ট্রেডিং এবং সর্দার এন্টারপ্রাইজসহ আটটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সবশেষ ৩টি ট্রাকে করে ১০৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এ নিয়ে ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত ৯৭ ট্রাকে ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তার আগে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সেই সময় চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর ৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এরপর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আর চাল আমদানি হয়নি।

ভারত সরকার চালের শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর থেকে আবার চাল আমদানি শুরু হয়। অর্থাৎ গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বন্দর দিয়েও কমবেশি আমদানি হয়েছে, বলে জানান এ কর্মকর্তা।

চাল ব্যবসায়ী রহমত জানান, যে সময় চাল আমদানির অনুমতি মিলেছে তখন দেশীয় বাজারে সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া ভারতের বাজারেও চালের দাম চড়া থাকায় কাঙ্ক্ষিত লাভ নিয়ে শঙ্কা বাড়ায় অনেকেই আর আমদানি করেনি।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির অনুমতি দেয় ৯২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে। দুই লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং এক লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই স্বল্প সময়ের মধ্যে চাল আমদানি করতে পারেনি। সরকার মাত্র ২৫ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয় আমদানিকৃত চাল বাজারজাত করার জন্য।