বর্ণিল আলোতে সেজেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও দেশ-বিদেশের গূরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ অনেকেই। এই উপলক্ষে স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সকল কার্যক্রম। সাজসজ্জ্বা দেখতে স্মৃতিসৌধের সামনে ভিড় করছেন অনেকেই।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পুরো এলাকায় রঙিন বাতির সমাহার। মূল ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত লাল, সবুজ ও নীল আলোকবাতি দিয়ে আলোকসজ্জ্বায় সজ্জ্বিত পুরো এলাকা। সৌধের প্রতিটি ফটকেই লাল, নীল হলুদসহ নানা রঙের বাতি শোভা পাচ্ছে।
স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায়। সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নানা পেশাজীবী মানুষ। কেউ বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। অনেকেই বর্ণিল আলোকসজ্জ্বার সামনে ক্যামেরাবন্দী করে নিচ্ছেন নিজেদের।
এছাড়া লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাল টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ। অভ্যন্তরে বিভিন্ন গাছ, স্থাপনা ও ফুলের গাছের কাছেও বাতি জ্বলতে দেখা যায়। প্রতিটি স্থাপনা সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জ্বায়। সড়কগুলোতে বাহারি রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
স্মৃতিসৌধের এলাকার অপর পাশে জয় রেস্তোরা, সেনা শপিং কমপ্লেক্স, সেনা অডিটোরিয়ামসহ সড়কের বিভিন্ন অংশে দেওয়া হয়েছে আলোকবাতি। এছাড়াও দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চারদিক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।
প্রতি বছর বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে এমন আলোকসজ্জ্বা করে থাকে স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগ। এ বিষয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলি মো. মিজানুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, দেশ-বিদেশের গূরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গেট থেকে শুরু করে সৌধ এলাকার সব স্থানে আলোকসজ্জ্বা করা হয়েছে।
বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ গত ৮ ডিসেম্বর থেকে জনসাধারনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, দেশ-বিদেশের গূরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ জাতীয় স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ।