নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতাসহ তিনজনের ওপর হামলা, বিক্ষোভ 

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহসহ তিনজনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তারা বিক্ষোভ করেছেন
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠিয়েছে। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল আদালত চত্ত্বরে আসে। এই ঘটনায় একই সংগঠনের জেলা সংগঠক জিহান মাহমুদ (৩০) ও উপজেলা সংগঠক রাসেল মিয়া (৩০) নামে আরও দুজন আহত হন। 
এই ঘটনার পর পর আদালত চত্ত্বরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে আহত আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এক সহযোদ্ধাকে একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই বিষয়ে আমি আদালতে এসেছিলাম। সেখান এক সহকর্মী বলেন তার এক আত্মীয়ের একটি শালিসি সভা হচ্ছে, সেখানে যেতে। আমি তার সাথে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছিল। একপর্যায়ে একজন আমাকে নাগরিক কমিটির নেতা হিসেবে পরিচয় করি দেন। নাগরিক কমিটির কথা বলার পর আমাকে মারধর শুরু করে। সেখানে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল সামনে ছিল, তার ইশারাতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক বের হয়ে কক্ষের লাইট বন্ধ করে সবাই বেদম প্রহার করে। এই অবস্থায় আমি পুলিশ সুপারকে কল দেই, তখনও তারা আমাদের মারধর করছিল। তারা মারার সময় বলছিল নাগরিক কমিটি কেন এখানে এসেছিস, তারা নাগরিক কমিটির উপর খুব ক্ষ্যাপা। 
আতাউল্লাহর সাথে আহত হওয়া জিহান মাহমুদ বলেন, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। আমরা উনার কক্ষে প্রবেশ করার পরই খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। তখন নাগরিক কমিটির নাম শুনে তারা আরও খারাপ ব্যবহার করেন। তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। সেখানে এই অবস্থায় রাসেল ফেসবুক লাইভ দেয়, লাইভ দেওয়ার পর আরও বেশি মারধোর করা হয়। 
এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, আদালতে রাবেয়া খাতুন ও হাবিবুল্লাহ'র মাঝে একটি মামলা চলমান রয়েছে। রাবেয়া খাতুন তার স্বামী হাবিবুল্লাহ'র বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেছেন। বাদী রাবেয়া খাতুন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মূখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ'র সম্পর্কে খালা হন। আজকে দুইপক্ষের উকিল নিয়ে মিমাংসার জন্যে বসেছিলেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়, কোন রাজনৈতিক বিষয় ছিল না। সেখানে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এই ঘটনায় আতাউল্লাহ সহ তিনজন আহত হন। আমি এসে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এই ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।