হাটহাজারীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন দাবি করেছে। একপক্ষ বলছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ, অন্যপক্ষের দাবি, জাতীয় পার্টি ও যুবলীগের কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে হাটহাজারী পৌরসভার কনক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল এবং সাবেক হুইপ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে।
শাকিলা ফারজানার অনুসারীদের অভিযোগ, বিজয় দিবসের র্যালির প্রস্তুতির সময় মীর হেলাল গ্রুপের লোকজন হামলা করেছেন। এতে ১০ জনের অধিক আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তবে মীর হেলাল অনুসারীদের দাবি, তারা কোনো হামলা করেননি। জাতীয় পার্টি-যুবলীগের লোকজনের সঙ্গে মারামারি হয়েছে।
হামলায় আহত ব্যারিস্টার শাকিলার অনুসারী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দিন পাভেল জানান, আমরা বিজয় দিবসের র্যালি করার জন্য কনক কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান নিলে আমাদের ওপর মীর হেলাল গ্রুপের লোকজন হামলা করেন। কয়েজনকে কোপানো হয়েছে। আমার হাত ভেঙে গেছে। আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আমরা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান নিয়েছিলাম। ওইসময় কনক কমিউনিটি সেন্টারেও হামলা হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে। হামলাকারীদের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, শাহেদুল ইসলাম শাহেদ ছিলেন।
ব্যারিস্টার মীর হেলালের অনুসারী উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জানান, পাভেল ভাইয়ের সঙ্গে আমার আজ দেখাও হয়নি। কনক কমিউনিটি সেন্টারে ঝামেলা হয়েছে জেনেছি। তবে কারা হামলা চালিয়েছে কিংবা কাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে জানি না। ওই স্থানে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজন ছিল। সম্ভবত তাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, হাটহাজারীতে আজ আমরা বড় অনুষ্ঠান করেছি। কোথাও কোনো ঝামেলা হয়নি। শুনেছি বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদের দোসর যুবলীগ-ছাত্রলীগ এবং জাতীয় পার্টির লোকজন বিজয় দিবসের সুযোগ নিয়ে জড়ো হয়েছিল। সেখানে গন্ডগোল হয়েছে। তবে সেখানে আমাদের কেউ ছিলো না।
হাটহাজারী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার বলেন, কনক কমিউনিটি সেন্টারের অনুষ্ঠানে তাদের নিজেদের লোকজনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পরে আমরা সেনাবাহিনী ডাকি। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। থানায় কারও পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।