বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর আ.লীগ নেতার গুলি বর্ষণ, আটক ২

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জেলার রামপালে প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আবু সাইদ বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় রামপাল থানায় ২১ জনকে আসামিসহ আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলা নং ৭, ধারা ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ৫০৬, ১১৪, ৩৪ ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯ (চ)। মামলাটি করেন, বাঁশতলী গ্রামের মৃত আ. ওয়াদুদের ছেলে এসকে আল মামুন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি উদ্ধার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আঃলীগের সদস্য শেখ মো. আবু সাইদ গত ৫ আগস্টের পরেও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। সে নিজের অবস্থান জানান দিতে এলাকায় আগ্নেয়অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করছিল।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার দিন গেল ১৫ জানুয়ারি উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে এজাহার নামীয় ২১ জনসহ অজ্ঞাত আসামীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মোহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদান করে। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ বাজারের সোনালী অটো রাইস মিলের সামনে আগ্নেয়অস্ত্র, রাম দা, লোহার রড ও হাতুড়ী নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে।

এ সময় প্রধান আসামি শেখ আবু সাইদের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা হামলা চালায়। বিএনপি জামায়াতের লোকজন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আবু সাইদের কাছে থাকা পিস্তল, ২ নং আসামি ও বাঁশতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী ও ৬ নং আসামী কাছে থাকা সর্টগান দিয়ে উপুর্যপুরি গুলি ছোড়ে। ঘটনার বেগতিক দেখে জনতা পিছু হটে।

এ সময় তারা পুলিশ ও সেনা সদস্যেদের খবর দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সোনালী অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে এসআই জাহাঙ্গীর সর্টগানের ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড তাজা পিস্তলের গুলি জব্দ করে। এ সময় আবু সাইদের ছেলে শেখ মাতলুব হোসাইন ও একই এলাকার সাংবাদিক ইকরামুল হক রাজিবকে আটক করে। ওই সময় কৌশলে প্রধান আসামি আবু সাইদসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।