চলচ্চিত্র পরিচালক আজাদী হাসনাত ফিরোজ মারা গেছেন। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরপারে পাড়ি জমান তিনি।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উপ-মহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা। তিনি বলেন, হাসনাত ফিরোজ ভাই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গুর কাছে হার মেনে চলেই গেলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আজাদী হাসনাত ফিরোজ ছিলেন একজন প্রেমের সিনেমার পরিচালক। তার নির্মিত সিনেমার মধ্যে ১০টা সিনেমায় শাবনূরকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন তিনি। আজ সকালে দেশের বাড়ি পাবনায় তাকে সমাহিত করা হয়েছে।'
জানা গেছে, আজাদী হাসনাত ফিরোজের হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। কিডনিজনিত সমস্যায়ও ভুগছিলেন তিনি। ২৯ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
আজাদী হাসনাত ফিরোজ পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘কাজের মেয়ে’, ‘সবার উপরে প্রেম’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘ফুলের মতো বউ’, ‘রসের বাইদানী’, ‘ঘরের লক্ষ্মী’ ও ‘স্বামী নিয়ে যুদ্ধ’ ‘গ্রাম গঞ্জের পিরিতি’।
৭৩ বছর বয়সি জাকির দীর্ঘ দিন ধরেই ফুসফুসের বিরল রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, পঞ্চাশ পেরোনো ধূমপায়ী পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত তবলাবাদক উস্তাদ জ়াকির হুসেন। ৭৩ বছর বয়সি জ়াকির দীর্ঘ দিন ধরেই ফুসফুসের বিরল রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘ইডিয়োপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস’। সেই সংক্রান্ত জটিলতা নিয়েই বিগত দু’সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করানো হয়। ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।
ইডিয়োপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস কী?
সাধারণত শ্বাস নেওয়ার সময়ে ফুসফুস ফুলে ওঠে, আবার শ্বাস ছাড়ার সময়ে তা চুপসে যায়। ‘ইডিয়োপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস’ বা ‘আইপিএফ’-এ আক্রান্ত হলে শ্বাস নেওয়ার সময়ে ফুসফুস ঠিকমতো ফুলতে পারে না। ফলে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। ফুসফুস সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসক আরাত্রিকা দাসের বক্তব্য, “ফুসফুস তো স্পঞ্জের মতো নরম একটি প্রত্যঙ্গ। আইপিএফ হলে ফুসফুস ক্রমশ তার নমনীয়তা হারাতে শুরু করে। সহজ কথায় বললে যা দাঁড়ায় তা হল, ফুসফুস শুকিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, শ্বাসযন্ত্রের ভিতর যে ছোট ছোট বায়ুথলি বা অ্যালভিয়োলাই রয়েছে, সেগুলিও ক্রমশ শক্ত এবং পুরু হতে শুরু করে। ফলে পালমোনারি হাইপারটেনশন বা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সেখান থেকে কিন্তু হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।”
কেন হয় এই বিরল রোগ?
আরাত্রিকা বলেন, “আইপিএফ কেন হয়, তা এখনও পর্যন্ত কেউই নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। তাই রোগটির নামের সঙ্গে ‘ইডিয়োপ্যাথিক’ (অজ্ঞাত কারণ) শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।” তবে এই রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় কারণ হিসাবে পরিবেশ দূষণ, ধূমপান এবং জিনঘটিত ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে।
আইপিএফ-এর লক্ষণগুলি কী কী?
ফুসফুসের সমস্যায় শ্বাসকষ্ট স্বাভাবিক একটি লক্ষণ। তবে আইপিএফ হলে সামান্য হাঁটাচলা, হালকা শরীরচর্চাতেও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ ছাড়া বছরভর শুকনো কাশি, ক্লান্তির মতো একেবারে সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা ইনফ্লুয়েঞ্জাজনিত জ্বর-সর্দি হলে আইপিএফ কিন্তু বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করতে পারে।
সঠিক চিকিৎসায় কি এই রোগ সারে?
এই রোগের তেমন কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে গেলে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করাতে হয়। সে সব বেশ খরচসাপেক্ষ। তা ছাড়া বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই অস্ত্রোপচার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আরাত্রিকা বলেন, “আইপিএফ কিন্তু এক দিনে হয় না। এই রোগে আক্রান্ত হলে ধীরে ধীরে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। এমন ওষুধ বাজারে রয়েছে, যা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা নষ্ট করার এই গতি শ্লথ করে দিতে পারে। তাতে কষ্ট খানিকটা লাঘব হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কমবয়সি হলে আমরা ‘লাং এক্সপ্যানশন এক্সসারসাইজ়’ করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।”
১৬ ডিসেম্বর জাতীয় বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সারাদেশে আয়োজিত হচ্ছে নানা উৎসব। সাধারণ মানুষ ১৯৭১ সালে শহীদ হওয়া যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে পাওয়া এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক আমরা। সেই মুক্তির আনন্দ উদযাপনে সংস্কৃতিকর্মীরা বিভিন্ন আয়োজনে বিজয় উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আজ এই বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছেন তারকারাও।
সোমবার স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ ১৬ ডিসেম্বর তারকারা বিজয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা ভক্তদের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। কিছু তারকাদের বিজয় শুভেচ্ছা তুলে ধরা হলো-
ঢালিউড কিং শাকিব খান মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিজের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন শাকিব খান। কপালে পতাকা বেঁধে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে বিজয় উল্লাসে উচ্ছ্বসিত শাকিবকে দেখা যায়। ছবির একপাশে লেখা, ‘১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এর শুভেচ্ছা।’ ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন,‘ সবাইকে মহান বিজয় দিবস-এর শুভেচ্ছা।’
ঢাকাই নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব একটি পোস্ট শেয়ার করেন বিজয় দিবসে। তিনি লেখেন, ‘আমার বাংলাদেশ, আমার সার্বভৌমত্ব, আমার সার্বভৌমত্বের প্রতীক, আমার পরিচয়, আমার অহংকার। সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।’
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান তার আসন্ন সিনেমার টিজার প্রকাশ করে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত জয়া অভিনীত সিনেমা,‘নকশী কাঁথার জমিন’ প্রকাশ পাবে ২৭ ডিসেম্বর।
অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস নিজের কোনো ছবি প্রকাশ না করলেও জাতীয় পতাকা হাতে ছেলে জয়ের ছবি প্রকাশ করেছেন। ক্যাপশনে লিখেন,‘সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ৷ যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীনতা তাদেরকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ৷ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে যাক বিজয়ের চেতনা।’
অভিনেতা সৈয়দ জামান শাওন লিখেছেন,‘ কেও এসে দেশ টা ঠিক করে দেবে!!! সেই আশায় বসে না থেকে, যার যার জায়গা থেকে সততা ও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা' ই হোক আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার মূলমন্ত্র! মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা!’
মহানগরখ্যাত পরিচালক আশফাক নিপুণ তার পোস্টে লেখেন,‘‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না ‘ ৩০ লক্ষ শহীদদের মন থেকে শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা বাংলাদেশিদের জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয় এনে দেয়ার জন্য। আমরা তোমাদের ভুলব না ‘
অভিনেত্রী রুনা খান লাল-সবুজ পতাকার পাশে তার একটি পুরানো ছবি শেয়ার করে লিখেছেন,‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…’
অভিনেত্রী শবনম বুবলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি রিলস আপলোড করেন। সেখানে ছেলে বীরের সঙ্গে লাল-সবুজ রঙের পোশাক পরেছেন। হাতে পতাকা নিয়ে আর মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে ছেলের সঙ্গে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বুবলী। রিলে বাজছে,‘ ও আমার বাংলা মা তোর’ গানটি। এছাড়াও কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্না একটি প্রতীকী ছবি শেয়ার করেছেন। তার ক্যাপশনে লেখেন,‘ আমাদের বাংলাদেশ, ভালোবাসি বাংলাদেশ, প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ, আমার মরণ বাংলাদেশ।’
এই বছরের বিজয় দিবস অন্যান্য বছরের চেয়ে কিছুটা হলেও ভিন্ন। তাই বিজয় দিবসের আয়োজনেও কিছুটা ব্যতিক্রম নজরে পরে।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্ণ হলো। এই দিনে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারকা অঙ্গনের অনেকেই। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানও বিজয় দিবস উদযাপন করছেন, তবে নিজের মতো করে। বিজয় দিবসে নিজের আসন্ন সিনেমার প্রকাশিত ট্রেইলার শেয়ার করে সকলের উদ্দেশে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জয়া।
বিজয় দিবসকে উপলক্ষ্য করে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্মরণ করে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’। আজ ১৬ ডিসেম্বর এই সিনেমার টিজার প্রকাশ করা হলো। সিনেমাটি প্রকাশ করা হবে ২৭ ডিসেম্বর। এই সিনেমার টিজার নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন জয়া।
টিজার শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘বিজয়ের মাসের ২৭ তারিখ আসছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত আমাদের চলচ্চিত্র ‘নকশীকাঁথার জমিন’। এই উপলক্ষে আজ, বিজয়ের দিনে, প্রথমবারের মতো ‘নকশীকাঁথার জমিন’-এর টিজার রিলিজ দেওয়া হলো …সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। ’
সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এছাড়া আরও অভিনয় করেছে ইরেশ যাকের, ফারিহা শামস সেওতি, সৌম্য জ্যোতি, দিব্য জ্যোতি, রওনক হাসান সহ অনেকে।
সিনেমাতে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন নারীদের সংগ্রাম ফুটে উঠেছে। মূলত দুই বোনের জীবন কাহিনীতে এগিয়ে চলবে সিনেমা। ‘নকশী কাঁথার জমিন’ পরিচালনা করেছেন আকরাম খান। হাসান আজিজুল হকের লেখা ছোটগল্পে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সহকারী প্রযোজন হিসেবে আছেন ফারজানা মুন্নি।
অর্ধশত বছরের বেশি সময় পার হলে্ও বাঙালির কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্ত এখনো যেন তাজা। তাই সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধায় মন ভার হয়ে আসে। এর আগেও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘গেরিলা’তে অভিনয় করেই সমগ্র দেশে প্রশংসা পেয়েছিলেন জয়া।
কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধারা এবং বাংলাদেশের জন্মের প্রাক্কালের ইতিহাসকে স্মরণ করতে বিনোদন অঙ্গনেরও চেষ্টার কমতি নেই। মুক্তিযুদ্ধের আবেগ, নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, দুঃখ, জয়ের আনন্দসহ সব অনুভূতি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় সিনেমা তৈরি করার চেষ্টা করেন। এযুগের মানুষের মনে আঁচড় ফেলার জন্য এবং স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে এই সিনেমাগুলো ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাকির হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফুসফুসজনিত অসুস্থতা থেকে উদ্ভূত জটিলতার কারণে জাকির হোসেন মারা গেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ছিলেন এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এর আগে, ওস্তাদ জাকির হোসেন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন বলে তাঁর ম্যানেজার নির্মলা বাচানী জানিয়েছিলেন। নির্মলা বাচানী পিটিআইকে জানান, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার জন্য দুই সপ্তাহ ধরে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
ভারতীয় ধ্রুপদি সংগীতের একজন পুরোধা হিসেবে বিবেচনা করা হয় জাকির হোসেনকে। কিংবদন্তি তবলাবাদক আল্লারাখার প্রথম সন্তান জাকির হোসেনের জন্ম ১৯৫১ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে। ৩ বছর বয়স থেকে বাবার কাছে তবলায় তাঁর হাতেখড়ি। ১২ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে প্রথম কনসার্ট। সেই থেকে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ভারতজুড়ে। তিনি তাঁর বাদ্যশৈলীর মধ্য দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের সংগীতজগৎকে খুব কাছাকাছি আনতে পেরেছেন।
১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। শুরু হয় তাঁর আন্তর্জাতিক সংগীতাঙ্গনে বিচরণ। ১৯৭৩ সালে জর্জ হ্যারিসনের লিভিং ইন দ্য ম্যাটেরিয়াল ওয়ার্ল্ড অ্যালবামে অংশগ্রহণ তাঁকে এনে দেয় এক বিরাট স্বীকৃতি। তার পর থেকেই বহু খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী যেমন জন ম্যাকলাফলিন, মিকি হার্ট, বিল ল্যাসওয়েল, ভ্যান মরিসন, জো হেন্ডারসনসহ আরও অনেকের সঙ্গে তবলা পরিবেশন করেন তিনি।
সংগীতে তাঁর কর্মজীবনের সিংহভাগজুড়ে রয়েছে ভারতীয় ধ্রুপদি সংগীত। তবলায় তিনি সংগত করেছেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, শিব কুমার শর্মা বা কত্থক নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজকে। ১৯৯২ সালে জাকির হোসেন প্রতিষ্ঠা করেন ‘মোমেন্ট রেকর্ড’৷ এর মাধ্যমে তিনি সংগীতানুরাগীদের উপহার দিয়েছেন ভারতের ধ্রুপদি সংগীতের খ্যাতিমান সেরা সংগীতশিল্পীসহ সমকালীন বিশ্বসংগীত।
স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১১ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওস্তাদ জাকির হোসেন।