সিনেমার টিজার প্রকাশ করে জয়া আহসানের বিজয় শুভেচ্ছা

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নকশী কাঁথার জমিন সিনেমায় জয়া / ছবি: সংগৃহীত

নকশী কাঁথার জমিন সিনেমায় জয়া / ছবি: সংগৃহীত

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্ণ হলো। এই দিনে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারকা অঙ্গনের অনেকেই। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানও বিজয় দিবস উদযাপন করছেন, তবে নিজের মতো করে। বিজয় দিবসে নিজের আসন্ন সিনেমার প্রকাশিত ট্রেইলার শেয়ার করে সকলের উদ্দেশে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জয়া।

বিজয় দিবসকে উপলক্ষ্য করে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্মরণ করে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’। আজ ১৬ ডিসেম্বর এই সিনেমার টিজার প্রকাশ করা হলো। সিনেমাটি প্রকাশ করা হবে ২৭ ডিসেম্বর। এই সিনেমার টিজার নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন জয়া।

বিজ্ঞাপন
‘নকশী কাঁথার জমিন’ সিনেমার দৃশ্য / ছবি:সংগৃহীত

টিজার শেয়ার করে জয়া লিখেছেন, ‘বিজয়ের মাসের ২৭ তারিখ আসছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত আমাদের চলচ্চিত্র ‘নকশীকাঁথার জমিন’। এই উপলক্ষে আজ, বিজয়ের দিনে, প্রথমবারের মতো ‘নকশীকাঁথার জমিন’-এর টিজার রিলিজ দেওয়া হলো …সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। ’

সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। এছাড়া আরও অভিনয় করেছে ইরেশ যাকের, ফারিহা শামস সেওতি, সৌম্য জ্যোতি, দিব্য জ্যোতি, রওনক হাসান সহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সিনেমাতে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন নারীদের সংগ্রাম ফুটে উঠেছে। মূলত দুই বোনের জীবন কাহিনীতে এগিয়ে চলবে সিনেমা। ‘নকশী কাঁথার জমিন’ পরিচালনা করেছেন আকরাম খান। হাসান আজিজুল হকের লেখা ছোটগল্পে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সহকারী প্রযোজন হিসেবে আছেন ফারজানা মুন্নি। 

সিনেমার প্রিমিয়ারে ‘নকশী কাঁথার জমিন’ সিনেমা সংশ্লিষ্টরা / ছবি: সংগৃহীত

অর্ধশত বছরের বেশি সময় পার হলে্ও বাঙালির কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্ত এখনো যেন তাজা। তাই সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধায় মন ভার হয়ে আসে। এর আগেও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘গেরিলা’তে অভিনয় করেই সমগ্র দেশে প্রশংসা পেয়েছিলেন জয়া।  

কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধারা এবং বাংলাদেশের জন্মের প্রাক্কালের ইতিহাসকে স্মরণ করতে বিনোদন অঙ্গনেরও চেষ্টার কমতি নেই। মুক্তিযুদ্ধের আবেগ, নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, দুঃখ, জয়ের আনন্দসহ সব অনুভূতি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় সিনেমা তৈরি করার চেষ্টা করেন। এযুগের মানুষের মনে আঁচড় ফেলার জন্য এবং স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে এই সিনেমাগুলো ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।